0
জসীমউদ্দীন (পুরো নাম জসীমউদ্দীন মোল্লা) একজন বিখ্যাত বাঙালি কবি। তিনি বাংলাদেশে পল্লী কবি হিসেবে পরিচিত।
 তিনি ১৯০৩ সনের পহেলা জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৬ সালের ১৩ মার্চ  কবি ইন্তেকাল করেন।  তাঁর লেখা কবর কবিতাটি বাংলা সাহিত্যে এক অবিস্মরণীয় অবদান। পুরো নাম জসীমউদ্দীন মোল্লা হলেও তিনি জসীমউদ্দীন নামেই পরিচিত। নকশী কাঁথার মাঠ কবির শ্রেষ্ট রচনা যা বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে।
তিনি ১৯০৩ সালের ১ জানুয়ারি এই দিনে ফরিদপুর জেলার তাম্বুলখানা গ্রামে নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। পাশের গোবিন্দপুর গ্রামের পৈতৃক বাড়িতে তার শৈশব কাটে। তার বাবা আনসার উদ্দীন সেখানে একজন স্কুল শিক্ষক, ধর্মীয় ও রাজনৈতিক নেতা ছিলেন। তিনি ইউনিয়ন বোর্ডের প্রেসিডেন্টও নির্বাচিত হন। কবির মা রাঙাছোটু ছিলেন একজন গৃহবধূ। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাভাষা ও সাহিত্যে মাস্টার্স ডিগ্রি অধ্যয়নকালে ও লাভের পর কবি জসীমউদ্দীন প্রখ্যাত পণ্ডিত ড. দীনেশচন্দ্র সেনের তত্ত্বাবধানে ‘রিসার্চ ফেলো’ পদে কর্মরত ছিলেন। দীনেশচন্দ্র সেন সেই দিনগুলোতে বাংলাদেশের বিভিন্ন পল্লী এলাকার মানুষের মুখে গীত-পঠিত পুঁথি সংগ্রহ ও গবেষণা করতেন। ড. সেন তার উপযুক্ত শিষ্য জসীমউদ্দীনকে বাংলার জেলাগুলোর বিশেষভাবে ফরিদপুর ও ময়মনসিংহ জেলার সেইসব পুঁথি (কাব্য-লোকগাথা) সংগ্রহের দায়িত্ব দেন। জসীমউদ্দীন পুঁথি (কাব্য-লোকগাথা) সংগ্রহের দায়িত্ব নেন। জসীমউদ্দীন পুঁথি সংগ্রহকালে গ্রামীণ জনগণের আনন্দ-বেদনার কাব্যগাথার সাথে ঘনিষ্ঠভাবে পরিচিত হন। এই সময়েই তিনি মানুষকে ভালোবেসে একজন খাঁটি মানবপ্রেমী হয়ে ওঠেন। কবি পালাগান, গাজীর গান, জারীগান, লোকগীতির আসরে যেতেন, উপভোগ করতেন, মাঝে মধ্যে নিজের বাড়িতেও লোকসঙ্গীত আসরের আয়োজন করতেন। তিনি বেশ কিছু লোকগীতিতে সুরারোপ করেন ও বিশিষ্ট শিল্পীদের গান শেখান এবং পরে কিছুকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে অধ্যাপনা করেন। কবি পৃথিবীর বহু দেশ সফরকালে সেইসব দেশের লোকসংস্কৃতির উপাদান প্রত্যক্ষ করেন। জসীমউদ্দীন কাব্য, নাটক, উপন্যাস, কাব্যোপন্যাস, প্রবন্ধগ্রন্থ, লোকসাহিত্য গবেষণাগ্রন্থ, গানের বই, ভ্রমণকাহিনী এবং আত্মজীবনী ও স্মৃতিকথাসহ অর্ধশতাধিক বইয়ের রচয়িতা। কবি দুইবার এডিনবার্গ উৎসবে (১৯৫০ ও ১৯৬২ সালে) এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুগোশ্লোভিয়াসহ বহু দেশে অনেক লোকসংস্কৃতি উৎসবে অংশগ্রহণ করেন। তার গ্রন্থগুলো বিশ্বের বহু ভাষায় অনূদিত হয়েছে। উল্লেখ্য, কবি জসীমউদ্দীনের গ্রন্থের মতো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরসহ বাংলাভাষার অন্য কোনো কবির লেখা এত বিদেশী ভাষায় অনূদিত হয়নি। তার ‘মাটির কান্না’ কাব্যটির রুশ ভাষায় একটি সংস্করণ বেরিয়েছে। মহান গুণী এই কবির প্রতি রইল আমাদের সশ্রদ্ধ স্মরণ।


A  poem (kobor) by Jashimuddin is given below

Post a Comment

Dear readers, after reading the Content please ask for advice and to provide constructive feedback Please Write Relevant Comment with Polite Language.Your comments inspired me to continue blogging. Your opinion much more valuable to me. Thank you.